সবাই বেশি করে করোনা পরীক্ষা করুন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সবাইকে বেশি করে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, দেশে টেস্টিং এর কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কিন্তু সমস্যা হলো রোগীরা টেস্ট করতে আগ্রহ প্রকাশ করে না এবং গোপন করে যায়। ফলে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে, যা আশঙ্কাজনক। আমি আহ্বান করবো- সবাই বেশি করে টেস্ট করবেন। নিজে সুস্থ থাকুন এবং করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ দিন।

শুক্রবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিংয়ে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৮০ শতাংশ রোগীর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। অন্যদের অক্সিজেন সাপোর্ট ও কিছু ওষুধ লাগতে পারে। তিনি বলেন, অনেক আলোচনা হচ্ছে আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটর নিয়ে। এই বিষয়টির ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত উন্নতি হচ্ছে। ভেন্টিলেটর দেয়া হয় মুমূর্ষু রোগীদের।

জাহিদ মালেক বলেন, ইউরোপে করোনায় আক্রান্ত্র রোগীদের জন্য আইসিইউ এর গড় প্রায় ৪ থেকে ৫ শতাংশ বা তার অধিক। কারণ তাদের বয়স্ক জনসংখ্যা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি। বাংলাদেশে জনসংখ্যা বেশি প্রায় শতকরা ৩০ বছরের নিচে। ষাটোর্ধ্ব প্রায় ৭ শতাংশ। যা বর্তমানে আমাদের দেশের জন্য আশীর্বাদ।

বর্তমানে সব হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট গাইড দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে পিপিই সংকট নেই। আপনারা জানেন আমাদের পিপিই তৈরি করতে সময় লেগেছে কারণ পিপিই তৈরির কাঁচামাল দেশে ছিল না। রফতানি বন্ধ ছিল এবং প্রস্তুতকারকও তেমন ছিল না। আস্তে আস্তে প্রস্তুতকারক সৃষ্টি করেছি এবং এখন প্রায় প্রতিদিন এক লাখ পিপিই সারাদেশে বিতরণ করার সক্ষমতা অর্জন করেছি।

তিনি আরো বলেন, এরইমধ্যে দেশে ২০টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এই ল্যাবগুলো অন্য দেশ থেকে আমদানি করে আনতে হয়েছে। এই আমদানিও বন্ধ ছিল। আমরা বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন উপায়ে এই ল্যাবগুলো স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি।

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে পেশিশক্তি প্রয়োজন জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন,  লকডাউনকে আরো কার্যকর করা প্রয়োজন। বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে হাট-বাজারে ঘোরাফেরা করে বেশি বেশি সংক্রমণ ছড়ানো হচ্ছে। রিকশা এবং অন্যান্য যানবাহন অবাধে চলাফেরা করছে। এ সমস্ত কারণে ঝুঁকির আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। করোনাভাইরাস এর মূল হাতিয়ার হলো সংক্রমণ রোধ করা।