ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনায় আর্থিক খাতে স্বস্তি: বাদ পড়ছেন না কেউই

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২০  

 বিশ্বজুড়ে চলমান করোনাভাইরাস সংকটে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে গত ৫ এপ্রিল ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার পাঁচটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের সব জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখেই এই প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ভিক্ষুক থেকে শুরু করে শিল্পপতি- কেউই বাদ যায়নি।

তবে একটি মহল স্বভাবসূলভ রীতিতে বাস্তবসম্মত এই প্যাকেজের বিরোধিতা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন ভূইফোঁড় অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রণোদনার রাজনৈতিক বিরোধিতা জারি রেখেছেন তারা। অথচ অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত প্যাকেজ করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে পৃথিবীর সামনে উদাহরণ সৃষ্টি করবে।

কিছু অনলাইন পোর্টাল বলছে, এই প্যাকেজে দরিদ্রদের জন্য কিছু রাখা হয়নি। অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণই ভিন্ন। প্রধানমন্ত্রী যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, তার পরই সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ ও ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। এছাড়া তিনি ৩০ লাখেরও বেশি পরিবারের কাছে ৬৮০ কোটি নগদ অর্থ বিতরণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। সর্বাধিক দারিদ্র্যপীড়িত ১০০ উপজেলায় সব বয়স্ক ও বিধবাকে ভাতা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত পাঁচটি প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে- আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি এবং মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা। অর্থনীতিবিদরা একবাক্যে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এই প্যাকেজে বিশেষভাবে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগণ, দিনমজুর এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা পূরণে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি পাবে। যেমন-বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয়, লক্ষ্যভিত্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ, বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীদের জন্য ভাতা কর্মসূচির আওতা সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় শতভাগে উন্নীত করা।

ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার সবাই বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্ত করোনাভাইরাসে কাবু হওয়া অর্থনীতিতে প্রাণ ফেরাবে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত চার প্যাকেজের প্রণোদনা রফতানি খাতের পাশাপাশি উৎপাদনমুখী ও সেবা খাতে ছোট-বড়-মাঝারি সব ধরনের শিল্প কারখানার জন্য সহায়ক হবে। এই প্রণোদনা প্যাকেজ করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতেও সহায়ক হবে।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজকে স্বাগত জানাই। এই প্যাকেজ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কৃষি ও সেবাভিত্তিক খাতের উদ্যোক্তারা সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন। আপাতত প্রধান লক্ষ্য হলো কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক করা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই প্যাকেজ সহযোগী ভূমিকা রাখবে।

এদিকে এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, এটা আমাদের কাছে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি পাওয়া। আমাদের জন্য এটা উৎসবের মতো। আমরা জানতাম সরকার প্রণোদনা দেবে, কিন্তু সঠিক সময়ে এত বেশি পরিমাণে দেবে, সেটা কেউ ভাবিনি। সরকার যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিশেষ মূল্যায়ন করে ও যত্নশীল সেটা আবারও প্রমাণ হলো।

শিল্পপতিরা বলছেন, এই প্রণোদনা হচ্ছে আপদকালীন সুবিধা হিসেবে স্বল্প সুদে ঋণ। এই প্রণোদনার কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। শ্রমিকদের বেতন দেওয়া যাবে। কারো চাকরি যাবে না।

এছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ে এরইমধ্যে এই প্যাকেজের সুফল আসতে শুরু করেছে। করোনাভাইরাসের কারণে যেসব নিম্ন-আয়ের মানুষ কর্মহীন হয়েছেন, তাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহার’। শুধু তা-ই নয়, এই প্রক্রিয়ায় জনপ্রশাসনকে এমনভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে, যাতে এর সঠিক বাস্তবায়নও সম্ভব হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভাবী মানুষের ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। মধ্যবিত্তদের পরিচয় গোপন রেখে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে খাবার।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//